Sunday , 11 August 2024 | [bangla_date]
  1. অন্যান্য
  2. অপরাধ
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. কৃষি
  7. খেলা
  8. জনপ্রিয়
  9. জাতীয়
  10. দুর্ঘটনা
  11. দেশের খবর
  12. নির্বাচন
  13. প্রবাস
  14. বানিজ্য
  15. বিনোদন

আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের আওয়ামীপন্থী চলমান কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনার আল্টিমেটাম-নির্যাতিত সাংবাদিকদের

প্রতিবেদক
Admin
August 11, 2024 8:30 am

কালের স্রোত ডেস্ক :টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের অনিয়ম ও নির্যাতিত সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে এনটিভির জেলা প্রতিনিধি মোহাব্বত হোসেন এই আল্টিমেটাম দেন। গতকাল শনিবার (১০ আগস্ট) রাত ১০ টার দিকে এমন একটি প্রেস রিলিজ বাংলা ভয়েসের হাতে এসে পৌঁছায়। এক প্রেস রিলিজের মাধ্যমে জানা যায় গত প্রায় ১৫ বছর যাবৎ আওয়ামী দখলে রয়েছে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাব। এখনো বহাল তবিয়তে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের সাধারন সদস্য পদে রয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুক, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য খান আহমেদ শুভ, জেলা যুবলীগের সহসভাপতি গোলাম কিবরিয়া বড় মনির ও জেলা আওয়ামী লীগের কার্যকরী সদস্য সুজয় দেব।
আওয়ামী এসব নেতা কেউই সাংবাদিক নয়। এছাড়া টাঙ্গাইল প্রেস ক্লাবের গঠণতন্ত্রে কোন রাজনৈতিক পদধারী নেতা প্রেস ক্লাবের সদস্য হতে পারবেননা। যেহেতে প্রেস ক্লাব হলো সাংবাদিকদের প্রতিষ্ঠান। কিন্ত সেই গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করে তারা গত দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে কার্যতঃ টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবকে জেলা আওয়ামী লীগের বিকল্প কার্যালয় হিসেবে ব্যবহার করেছে। জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি গঠনসহ সকল প্রকার টেন্ডারবানিজ্য, অবৈধ নিয়োগ বানিজ্য, ভিন্নমতের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা-মামলা, হত্যা-নির্যাতন, নানা ষড়যন্ত্র ও নীলনকশা বাস্তবায়ন করা হয় প্রেসক্লাবে বসে। গত ১৫ বছরে প্রতিদিন সন্ধার পর জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের পদধারী নেতাদের তাস খেলার নামে জুয়াখেলার মতো আড্ডায় পরিনত হয় প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের জন্য নির্মিত রেষ্টহাউজটি। এই তাস খেলার জমজমাট আসর চলেছে গভীররাত পর্যন্ত।টাঙ্গাইলের সাংবাদিক সমাজের প্রানের এই প্রতিষ্ঠানকে আওয়ামী লীগের বিকল্প কার্যালয় বানানোর মূলকারিগর হিসেবে ভূমিকা পালন করেছেন প্রেসক্লাবের সভাপতি জাফর আহমেদ। সম্পূর্ন ব্যাক্তিগত স্বার্থে ও সভাপতির পদ দখলে রাখতে আওয়ামী লীগ নেতাদের প্রেসক্লাবে এনে সদস্যপদ দেন তিনি। অপরদিকে ভিন্নমতের অনেক পেশাদার সাংবাদিকের আজীবনসহ সাধারন সদস্য পদ বাতিল করে প্রেসক্লাব থেকে বের করে দেয়া হয়। আওয়ামী লীগের অপকর্মের সংবাদ প্রকাশ করার জের হিসেবে সাংবাদিকদের অনেকে কারাবরণ ও হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন। প্রেসক্লাবের নির্বাচনে আওয়ামী শীর্ষ নেতারা প্রভাব বিস্তার, হস্তক্ষেপ ও ভয়ভীতির প্রদর্শন করে করে তাদের সমর্থনপুষ্টদের নির্বাচিত করেছে বার বার। এই নেতাদ্বয় তাদের দল ভারি করার জন্য প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র অমান্য করে অনেক অসাংবাদিককে সদস্য পদ দিয়েছেন। এছাড়াও গত ১৫ বছর বিএনপিসহ বিভিন্ন গনতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন যাতে করতে না পারে এজন্য কার্যকারী কমিটির সভায় রেজুলেশন পাশ করা হয়। গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার যুগান্তকারী আন্দোলনের মধ্যদিয়ে আওয়ামী দুঃশাসনের অবসান ঘটে। জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন শুরুর পর টাঙ্গাইলে সাধারন শিক্ষার্থীদের উপর বারবার হামলার ঘটনা ঘটে। এসব হামলার অন্যতম নির্দেশদাতা হলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম। তিনি প্রেসক্লাবে বসে থেকে এইসব হামলার নির্দেশ দেন। টাঙ্গাইলে চুড়ান্ত আন্দোলনের সময়ে শিক্ষার্থীদের উপর আক্রমনের সময় ৩ আগষ্ট সকালে শহরের বিবেকানন্দ স্কুল এন্ড কলেজে সাধারণ শিক্ষার্থীদের রোষানলে পড়েন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলাম।সেখান থেকে তাকে নিরাপদে সরিয়ে নেন প্রেসক্লাবের বহাল তবিয়তে প্রেসক্লাবে বসে পলাতক আওয়ামী নেতাদের বিভিন্নভাবে সাহস যোগানোর পাশাপাশি অর্থের যোগান দিয়ে যাচ্ছেন। গত ১৫ বছরে নির্যাতিত সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি তুলেছে প্রেসক্লাবের বর্তমান কমিটি বাতিল করার জন্য। একই সাথে আওয়ামী নেতাদের সদস্যপদ বাতিলসহ করে প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্র সংস্কারের দাবি জানাচ্ছে। টাঙ্গাইল জেলায় কর্মরত সকল প্রিন্টস ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার গণমাধ্যম কর্মীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেছে। এখনি কমিটি বাতিল না করলে বড় ধরনের কোন অপ্রীতিকর অবস্থার সৃষ্টি হলে তার জন্য বর্তমান সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক দায়ী থাকবে বলে মনে করছেন সাংবাদিকরা। সেক্ষেত্রে আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কমিটি বিলুপ্ত ঘোষনা করে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানিয়েছেন জেলায় কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্টস ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার নির্যাতিত সাংবাদিকরা।
প্রেস রিলিজটির দাবি তুলে ধরা হয়:
দাবিগুলো হচ্ছে :-
১. আওয়ামী লীগ নেতাদের অবৈধ হস্তক্ষেপ ও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে গঠিত কমিটি বিলুপ্ত করতে হবে।
২. ক্ষমতার প্রভাবে প্রেসক্লাব দখল করা আওয়ামী নেতাদের সদস্যপদ বাতিল করতে হবে। ও আজীবনসহ যে সব সাংবাদিকদের আন্যায় ভাবে সদস্য পদ বাতিল করা হয়েছে তাদের বিনাশর্তে সদস্য হিসাবে পুনঃবহাল করতে হবে।
৩. প্রেসক্লাবে সদস্যপদ লাভের ক্ষেত্রে যোগ্য ও পেশাদার সাংবাদিকদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।
৪. সদস্যপদ লাভের ক্ষেত্রে স্থানীয় সংবাদপত্রের সকল কোটা পুরনের উদ্যোগ নিতে হবে।
৫. সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষ পদে পরপর দুইবারের বেশী নির্বাচন করতে পারবেনা গঠনতন্ত্রের সেই পুরো ধারা ফিরিয়ে আনতে হবে।
৬. প্রেসক্লাবের পদ ব্যবহার করে ও আওয়ামী নেতাদের পদলেহন করে অবৈধ অর্থ-সম্পদ অর্জনকারীদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে হবে।
৭. পেশাদার সাংবাদিকদের বৈষম্যমূলক আচরণ ও স্বজনপ্রীতির সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
সুত্র-প্রেস রিলিজ

সর্বশেষ - বানিজ্য

আপনার জন্য নির্বাচিত

সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের বাজেট পাস

পণ্যের বৈচিত্র্য আনয়নের মাধ্যমে রপ্তানি আয় বাড়ানোর আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

আওয়ামী লীগ নয়, জিয়া, খালেদা, এরশাদ দেশ বিক্রি করেছেন : প্রধানমন্ত্রী

বন্যাকবলিত এলাকা ফেনীতে পরিদর্শনে সেনাবাহিনী প্রধান

বাংলাদেশ সৃষ্টিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে: শেখ হাসিনা

দীপ্ত পায়ে সংগ্রাম-আন্দোলন এগিয়ে যাওয়ার নাম আওয়ামী লীগ : ওবায়দুল কাদের

খাগড়াছড়িতে বন্যার্তদের পাশে সেনাবাহিনী

ছাত্র জনতার আন্দোলনে হত্যাকান্ডে জড়িতদের বিচারসহ বেশ কিছু সিদ্ধান্ত আইন মন্ত্রণায়ের

৫ গুণী শিল্পীকে সম্মাননা প্রদান সুনামগঞ্জ জেলা শিল্পকলা একাডেমির

দেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা