আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, অনেক ভালো বাংলাদেশ গড়তে না পারলে জুলাই গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়ে যাবে। এটা মনে রাখতে হবে।
আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় যাদুঘর মিলনায়তনে নিজের লেখা উপন্যাস ‘আমি আবু বকর’ নিয়ে অনুষ্ঠিতসভা আলোচনা সভায় ড. আসিফ নজরুল একথা বলেন। ‘বঙ্গীয় সাহিত্য সভার আয়োজন করে।সভায় বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক লেখক মাহবুব মুর্শেদ, আন্দালিব রাশদী, পাপড়ি রহমান, মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন, মো. রাশেদ খাঁন, সালাহ উদ্দিন শুভ্রসহ বিভিন্ন লেখক ‘আমি আবু বকর’ উপন্যাস রচনার প্রাসঙ্গিকতাসহ অন্যায়ের বিরুদ্ধে লেখক আসিফ নজরুলের অবদানের কথা তুলে ধরেন।উপন্যাসটি রচনার প্রেক্ষাপট ও প্রতিবন্ধকতা তুলে ধরতে গিয়ে ড. আসিফ নজরুল বলেন, গত ১৫ বছরে আমরা যে নারকীয় শাসন সহ্য করেছি, এটার পিছনে আমাদের ‘কালেক্টিভ’ কাপুরুষতা ছিল। জানিনা, আমরা কি পাপ করেছিলাম, যে দেশে শেখ হাসিনার মতো একটা শাসক পেয়েছিলাম। তিনি আমাদের সমস্ত সামাজিক সম্পর্ক নষ্ট করে দিয়েছিলেন।আইন উপদেষ্টা বলেন, ট্যাগের রাজনীতি দিয়ে মানুষকে ভিক্টিমাইজ করার আওয়ামী লীগের রাজনীতিকে আমরা ঘৃণা করতাম। সেটা আমরা এখনো করে চলেছি।তিনি বলেন, বিগত সরকারের আমলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সন্দেহ করে নয়, বরং নিশ্চিতভাবে জেনে-বুঝেই অনেক ছাত্রকে মিথ্যাভাবে শিবির ট্যাগ দেয়া হতো।তিনি বলেন, তারা জানতো এ ছেলেটা শিবির না, ছাত্রদল না; তা সত্ত্বেও তার ল্যাপটপটা নেয়ার জন্য, বিনোদন করার জন্য, নিজেকে আরও বড় লিডার বানানোর জন্য বিভিন্ন ট্যাগ দিয়ে নির্যাতন করা হতো। গত ১৫ বছরের এই সমস্ত ব্যাধি থেকে আমরা এখনো মুক্ত হতে পারিনি। শেখ হাসিনার সরকারের দুঃসহ যন্ত্রণা থেকে আমরা জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে মুক্তি পেয়েছি।তিনি বলেন, আমরা গত সরকারের যে নিষ্ঠুরতা, নারকীয়তা, অনাচার, ট্যাগের রাজনীতি, অশ্লীলতা ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছি, সেগুলো থেকে আমাদের অনেক ভালো হতে হবে। না হলে এতো ছাত্র-তরুণ মারা গেল, এতো মানুষের অঙ্গহানি হলো, তাদের প্রতি চরম অশ্রদ্ধা হবে।আসিফ নজরুল বলেন, বিগত সরকারের আমলে অলিখিত নিয়ম হয়েছিল বাংলাদেশে তিনটা বিষয়ে কথা বলা যাবেনা। এর একটা হলো শেখ হাসিনা সম্পর্কে। দ্বিতীয়টা হলো ভারত সম্পর্কে। আর তৃতীয়টা বললাম না। কারণ এটা খুবই বিতর্কিত।