কালের স্রোত ডেস্ক : বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)’র সাবেক সভাপতি মোল্লা জালালের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
একজন সংগীত শিল্পীকে (৫০) অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে রাজধানীর শাহবাগ থানার করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আখতারুজ্জামান তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর শাহবাগ থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা পুলিশের এসআই আবুল কালাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, সোমবার বিকেলে মোল্লা জালালকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অপর দিকে তার আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
সোমবার (৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর সেগুন বাগিচা থেকে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এরআগে গত ১ নভেম্বর অপহরণ ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে সংগীত শিল্পী শাহানা আফ্রিদী (৫০) সাংবাদিক মোল্লা জালাল (৬৫) ও তার সহযোগী সলেমান ওরফে সেলিমের (৫৪) বিরুদ্ধে রাজধানীর শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলার অভিযোগে শাহানা আফ্রিদী উল্লেখ করেন, মোল্লা জালাল সাংবাদিকতার পরিচয়ে দীর্ঘ ১৭ বৎসর যাবৎ তাকে বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছিলো। তিনি একজন সংগীত শিল্পী। ২০০৭ সালে ভালুকা প্রেসক্লাবে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান পরিবেশনের সুবাধে মোল্লা জালালের সাথে তার পরিচয় হয়। গত ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা অনুমান ৬টার দিকে শাহবাগ থানার শিল্পকলা মৎস্য ভবন গেটের সামনে পিঠার দোকানে সামনে আসামী মোল্লা জালালের লোক রানার সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। তখন স্থানীয় লোকজন বিষয়টা মীমাংসা করে দেয়। তিনি সেখান থেকে শিল্পকলা হয়ে পায়ে হেঁটে তার বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন। যাওয়ার পথে রাত সাড়ে ৭টার দিকে শাহবাগ থানার হাইকোর্ট গেটের কাছে আসামি মোল্লা জালাল, সলেমান ওরফে সেলিম ও অজ্ঞাতনামা আরও একজন লোক তার চোখ কাপড় দিয়ে বেধে জোর পূর্বক গাড়ীতে উঠিয়ে তাকে অজ্ঞাত একটি বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আসামি মোল্লা জালাল, সলেমান ওরফে সেলিম ও অজ্ঞাত ওই ব্যাক্তি তার চুলের মুঠি ধরে এলোপাথারি মারধর ও জখম করে। অন্য আসামিদের সহায়তায় মোল্লা জালাল তার কাপড় খুলে শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর জায়গায় হাত দেয় ও ধর্ষনের চেষ্টা করে। এ সময় তিনি চিৎকার করলে, আসামি তাকে ছেড়ে দেয় এবং বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রদানসহ প্রাননাশের হুমকি দেয়।
পরেরদিন আনুমানিক সকাল ৫টার দিকে আসামি সলেমান ওরফে সেলিম ও অজ্ঞাতনামা ওই ব্যক্তি গাড়ীতে করে তাকে রমনা পার্কের ওভার ব্রীজের কাছে রাস্তায় রেখে চলে যায়।
পরে তিনি বাসায় ফিরে যান বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।