নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে স্থগিতকৃত লাইসেন্সের অধীন থানায় জমা না করা আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ এবং পুলিশসহ বিভিন্ন বাহিনী/সংস্থার বেহাত/হারানো অস্ত্রসহ যেকোন অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে যৌথ অভিযান পরিচালনা করা হবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব মো. আরিফ-উজ-জামান স্বাক্ষরিত আজ এক আদেশে নিম্নোক্ত নির্দেশনা প্রদান করা হয় যে, বিগত ২৫ আগস্টের প্রজ্ঞাপন মূলে স্থগিতকৃত লাইসেন্সের তালিকা প্রণয়নপূর্বক সংশ্লিষ্ট লাইসেন্স গ্রহীতাকে এসএমএস -এর মাধ্যমে লাইসেন্স স্থগিত এবং স্থগিতকৃত লাইসেন্সের অনুকূলে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গোলাবারুদ ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে থানায় জমা প্রদানের বিষয়টি অবহিত করতে হবে।
বর্ণিত লাইসেন্স স্থগিত ও সংশ্লিষ্ট অস্ত্র-গোলাবারুদ থানায় জমা প্রদান এবং ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান পরিচালনা ও অবৈধ অস্ত্র সংরক্ষণ/হেফাজতকারীদের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরসহ আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয়টি জেলা তথ্য অফিসের মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
জেলা ম্যাজিস্ট্রেটগণ আগামীকাল ২ সেপ্টেম্বর থেকে পুলিশ সুপার, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিনিধি এবং গোয়েন্দা সংস্থাসহ অন্যান্য সদস্যদের সমন্বয়ে কোর কমিটির সভা করবেন। সভায় স্থগিতকৃত লাইসেন্সের তালিকা পর্যালোচনা করবেন। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে কার্যকর অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনার জন্য সশস্ত্র বাহিনী, বিজিবি, কোস্টগার্ড, পুলিশ, র্যাব, আনসার সমন্বয়ে যৌথ অপারেশন টিম গঠন করে অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
মেট্রোপলিটন এলাকায় পুলিশ কমিশনারগণ সংশ্লিষ্ট সকল বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার সহায়তায় আগামী ৪ সেপ্টেম্বর থেকে অস্ত্র উদ্ধারের জন্য যৌথ অভিযান পরিচালনার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।