মুক্তার হাসান ঃ টাঙ্গাইলের বাসাইল উপজেলার মান্দারজানী গ্রামে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র ব্যবসা প্রতষ্ঠানে হামলা, লুটপাট ও মারধরের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, কাউলজানী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক ইউপি সদস্য মো. এখলাসের নেতৃত্বে শুক্রবার বিকেলে পুরাতন বাজার এলাকায় এ হামলা চালানো হয়। এতে ওই গ্রামের মৃত সুরুত আলীর ছেলে ফজল হক, তার চাচাত ভাই সিদ্দিক হোসেন, রফিক মিয়া ও মেহমান ভাতিজির জামাই মো. স্বপন মিয়া গুরুত্বর আহত হয়।
ফজল হক বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক ইউপি সদস্য এখলাস বাজারে এসে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এর প্রতিবাদ করলে এখলাস, তার ছেলে সন্ত্রাসি, মাদকাসক্ত সজিব মিয়া ও ভাতিজা সাগর মিয়া বাঁশ, কাঠের লাঠি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা করে এবং আমার দোকান ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়।
এ সময় আমার চাচাতো ভাই রফিক মিয়া, সিদ্দিক হোসেন ও বাড়িতে বেড়াতে আসা মেহমান ভাতিজির জামাই মো. স্বপন মিয়া আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসলে দুর্বৃত্তরা তাদেরকেও বেধরক পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে রক্তাক্ত যখম করে দেয় । এক পর্যায়ে হামলাকারীরা আমাদের দোকানে এসে নগদ অর্থসহ মালামাল লুটপাট করে। এতে আমার দুই লক্ষাধিক টাকা ক্ষতি হয়েছে। আমি এ ঘটনায় জড়িতদের বিচার দাবি করি।
আহত স্বপন মিয়া বলেন, আমি উভয় পক্ষের মারামারি ছাড়াতে গেলে এখলাস, সজিব ও সাগর আমার উপর হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দেয় । আমার মাথায় পাঁচটি সেলাই করা হয়েছে। এছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশে লাঠির আঘাতে যখম হয়েছে। আহত সিদ্দিক জানান, তাকেও পিটিয়ে শরীরের কয়েকটি স্থানে নীলা ফোলা, যখম করা হয়েছে । পরে টাঙ্গাইল গিয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছে ।
কাউলজানী পুরাতন বাজার সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. আক্কাস আলী বলেন, যতটুকু শুনেছি দুই পক্ষ মারামারি করলেও ফজল হকরা বেশি ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য পান্নু মিয়া বলেন, বিষয়টি সামাজিক ভাবে সমাধানের চেষ্টা চলছে। সাবেক ইউপি সদস্য অভিযুক্ত মো. এখলাস বলেন, আমি অসুস্থ ও ব্যস্ত। পরে কথা বলি।
বাসাইল থানার এসআই মাহবুবুল হাসান বলেন, ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এ বিষয়ে মামলা হলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।