স্টাফ রিপোর্টার ঃ
আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য কৃষিমন্ত্রী ডক্টর মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি বলেছেন, আগামি ৩ মাস পর জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে- তা গোটা পৃথিবীর কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। কোন দল এই নির্বাচনকে বানচাল করতে পারবে না। কোন ষড়যন্ত্র করেই এই নির্বাচনকে বানচাল করা যাবেনা বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। শনিবার(৭ অক্টোবর) দুপুরে টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার শোলাকুড়ি ইউনিয়নের বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজরিত দোখলা রেস্ট হাউজে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল ও বন বিভাগের দুইটি ব্যারাক উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের একটি বড় দল আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করতে চেষ্টা করছে- আইনশৃঙ্খলা বিণষ্টের পাঁয়তারা করছে। কিন্তু বর্তমান পুলিশ প্রশাসন খুবই তৎপর রয়েছে। তারা সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে। এদেশের জণগন আমাদের সাথে আছে। এদেশের মানুষ যদি আবারও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ভোট দেয় তাহলে উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত থাকবে। নির্বাচন যদি কোনো দেশ বানচাল করার চেষ্টা করে তাহলে সেই ষড়যন্ত্রও আমরা মোকাবেলা করবো।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমেরিকায় ক’জন মানুষ যায়। তারা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কি করবে। গুলশান-বানানীর বড় লোকের ছেলেরাই আমেরিকায় যায়। তারা না গেলে বাংলাদেশের কোন ক্ষতি হবে না। দু-একজন মন্ত্রী না গেলেও ক্ষতি হবে না। আমরা কোন অনিয়ম-দুর্নীতি করি নাই- অনিয়ম করে থাকলে আমরা জেলে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি। ভিসা দিয়ে আমেরিকা যেতে পারবো না -এটা আমাদের কাছে কোন বিষয় না। নয় মাস একটি রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। অর্থনৈতিকভাবে যদি তারা স্যাংশন দেয়- আমরাও দেখবো কিভাবে মোকাবেলা করা যায়।
মধুপুরের বন দেশের জাতীয় সম্পদ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এটি টাঙ্গাইলের ঐতিহ্য ও গৌরবের বিষয়। ঘনবসতিপূর্ণ দেশে বন রক্ষা করা খুবই কঠিন। নানা কারণে বনের অনেকটা ধ্বংস হয়েছে। মধুপুরের বন রক্ষার জন্য আমরা নানা উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। যারা বন কাটত- তাদেরকে আমরা বন রক্ষার জন্য ভলান্টিয়ার করেছি। মধুপুরে সামাজিক বনায়নে ২৮ কোটি টাকার প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজ চলছে।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাহাব উদ্দিন বলেন, সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ২২% বনায়ন করতে পেরেছি, প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতায় ২৫% বনায়ন করতে চেষ্টা করছি।
অবৈধ করাতকল বিষয়ে এক প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, করাতকল অবৈধভাবে চলছে। তবে কিছু করাতকল হাইকোর্টে মামলা থাকার কারণে উচ্ছেদে সমস্যা হচ্ছে। সেই মামলার জবাব দেব কোর্টের মাধ্যমে অবৈধভাবে যে কয়লা উৎপাদন হয় সে বিষয়ে নিয়মিত অভিযান চলমান রয়েছে।
এসময় টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম(ভিপি জোয়াহের) এমপি, পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আইরিন আক্তার, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা সাজ্জাদুজ্জামান, মধুপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীমা ইয়াসমিন, মধুপুর পৌরসভার মেয়র সিদ্দিক হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।