চলতি বছর সারাদেশে ৩১ হাজার ৪৬১ মণ্ডপে দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে

চলতি বছর সারাদেশে ৩১ হাজার ৪৬১ মণ্ডপে শারদীয় দুর্গাপূজা উদযাপিত হবে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ২৫২টি মণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে পূজা কমিটির সভাকক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন- ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব। এ সময়ে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, মহানগর সার্বজনীয় পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ড. তাপস চন্দ্র পাল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
জয়ন্ত কুমার দেব বলেন, সারাদেশে ৩১ হাজার ৪৬১টি মণ্ডপে পূজার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগরীতে এবার ২৫২টি পূজা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছর ঢাকায় মহানগরে ২৪৮টি পূজার আয়োজন করা হয়েছিল। সে হিসেবে মহানগরে চারটি পূজা বেড়েছে।
তিনি জানান, যেসব ক্ষেত্রে খোলা জায়গায় অস্থায়ী প্যা-েলে দুর্গাপূজা করা হবে, সেসব ক্ষেত্রে সরকার নির্দের্শিত বিধি-বিধান মেনে সবার সঙ্গে সমন্বয় করে পূজা আয়োজনের ব্যবস্থা করতে হবে। প্রতিমা নির্ধারিত দিনেই (১৩ অক্টোবর) বিসর্জন দিতে হবে। বিসর্জনের দিন শোভাযাত্রায় সর্বোচ্চ সতর্কতা ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে হবে।
সারাদেশে এবছর পূজার সংখ্যা কমার কারণ হিসেবে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ শর্মা জানান, প্রস্তুতি নিয়ে অপারগ হওয়ায় ও বন্যার কারণেও দুর্গত এলাকায় কোথাও-কোথাও পূজার্থীরা এবার পূজার আয়োজন করতে পারেনি।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজা উপলক্ষে রাজধানীসহ সারাদেশের প্রতিটি পূজাম-পের নিরাপত্তায় পুলিশ, আনসার, বিজিবি, র্যাবসহ অন্যান্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। পুলিশ ও র্যাবের পাশাপাশি প্রায় প্রতিটি মন্ডপে স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী দায়িত্ব পালন করবে। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগীতার আশ্বাস দিয়েছেন সেনাপ্রধান। নিরাপত্তায় কোন ধরনের ঘাটতি থাকবে না। ঢাকেশ্বরী মন্দির মেলাঙ্গনে মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির উদ্যোগে কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে বলেও জানান সন্তোষ শর্মা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শঙ্কার মধ্যেও সরকার, রাজনৈতিক দল, সেনাবাহিনী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ছাত্র নেতৃবৃন্দের প্রত্যয়ী মনোভাব ও পদক্ষেপ আমাদের পূজার আয়োজনে সাহস জোগাচ্ছে। পূজা কমিটির নেতৃবৃন্দ মনে করেন, আবহমানকাল ধরে এ মাটিতে যে ঐতিহ্য ও সহমর্মিতার সংস্কৃতি লালিত হচ্ছে, তা সবার সহযোগিতা ও ঐক্যবোধের চেতনায় সমৃদ্ধ হবে।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে হিন্দু সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গাপূজায় অষ্টমী থেকে দশমী তিনদিন, বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের প্রবারণা পূর্ণিমায় একদিন, ও খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের ইস্টার সানডে’তে একদিন সরকারি ছুটি ঘোষণার দাবি জানানো হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *