ঢাকাSaturday , 4 February 2023
  1. অপরাধ
  2. আন্তর্জাতিক
  3. কৃষি
  4. খেলা
  5. জনপ্রিয়
  6. জাতীয়
  7. দেশের খবর
  8. বিনোদন
  9. ভিডিও
  10. শীর্ষ
আজকের সর্বশেষ সবখবর

একই মামলায় আসামীর স্ত্রী বাদী পক্ষের সাক্ষী

Rafaz
February 4, 2023 10:42 am
Link Copied!

স্টাফ রিপোর্টারঃ
আসামীর স্ত্রী একই মামলার সাক্ষী হওয়ায় এ ঘটনায় এলাকায় একটি চাঞ্চল্যকর পরিবেশের সৃষ্টি হয়েছে। কুমিল্লার লালমাই উপজেলার ৬ নং পেরুল ইউনিয়নের রায়দুয়ার গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে। জানা যায়, এলাকার কলিম উল্লাহ মজুমদারের মেয়ে তাহমিনা আক্তারের নিজ বশত বাড়িতে তারই ভাই মৃত: মেজবাহুল ইসলামের মেয়ে মেহেরনাজ আক্তার নাহিদ (৩৮), ( যে কিনা সব সময় নিজেকে আওয়ামী লীগের কর্মী ও ডিজিএফআই এর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কর্মী হিসেবে নিজেকে পরিচয় দেন) ও আরেক ভাই মৃত খোরশেদ আলমের ছেলে গোলাম কিবরিয়া টিটু (৩২) গং ও তার স্ত্রী পারভীন আক্তার(২৮), এলাকার মৃত. যৌবন আলীর ছেলে গাঞ্জা সেবনকারী ও কয়েকবার জেল খাটা মনির ভান্ডারির(৫৪) যোগ সাজসে তাহমিনার বাড়িতে গত ২৬/০৮/২০১৮ইং তারিখ বেলা আনুমানিক ১১টার সময় অর্তকিত হামলা, বাড়িঘর ভাংচুর, শত শত গাছপালা কেটে নিয়ে যায় উল্লেখিত দুর্বৃত্তরা। তাদের মুলত উদ্দেশ্য ছিল বাড়িটি দখল করা। এদিকে তাহমিনা চাকুরির সুবাধে ঢাকায় বসবাস করেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন বিশেষ করে তাদের পাশের ঘরের প্রতিবেশি মো. রফিকুল ইসলাম পিতা আরব আলী এ ঘটনাটি তাহমিনাকে মোবাইল ফোনে জানালে তিনি তাৎক্ষণিক ঘটনাটি স্থানীয় চেয়ারম্যান ততকালীন সফিকুল ইসলামকে লিখিত ভাবে জানান, যার অভিযোগ নম্বর হলো: ২৪/২০১৮ ইং তারিখ: ২৬/০৮/২০১৮ইং। এ সময় গ্রামপুলিশ পাঠিয়ে অভিযোগকারীদের চেয়ারম্যান কার্যালয়ে হাজির করা হয়। তারপর চেয়ারম্যান উভয় পক্ষের কথা শুনে একটি দিন ধার্য্য করেন ঘটনাটি সুরাহার জন্য। কিন্তু হামলাকারীরা চেয়ারম্যানের কথা অবাধ্য হয়ে ততকালীন সদর দক্ষিণ থানায় ৭ জনকে আসামী করে উল্টো তাদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যার নম্বর হলো ৫৯৭/১৮, তারিখ ০৪/১২/২০১৮ইং। এ মামলায় আসামী করেন বাড়ির মালিক দুই বোন তাহমিনা আক্তার, ঝর্না বেগম, রফিকুল ইসলাম, বাপ্পী, জুয়েল, রাঙ্গা বেগম, ও মোহন মিয়া নামের পাশের বাড়ির তাদের নিকট আত্মীয়। এ মামলার ৭ নম্বর আসামী মোহন মিয়ার স্ত্রী জরিনা বেগমকে উক্ত মামলার সাক্ষীতে নাম দেয়া হয়। এ ব্যাপারে জরিনা বেগম জানান. তিনি এ ঘটনায় কোন সাক্ষী দেননি। মামলার বাদি মেহেরনাজ আক্তার নাহিদ ও টিটু গংরা নিজের ইচ্ছায় জোর করে তার নাম লিখেন। এ ব্যাপারে তাকে না জানিয়ে তার নাম দেয়া হয়। তিনি গত ০৩/১/২০২৩ তারিখ আদালতে হাজির হয়ে বিচার প্রার্থনা করেন যে কেন এ ঘটনায় তাকে মিথ্যা সাক্ষীতে নাম দেয়া হয়। এ ব্যাপারে আসামীর স্ত্রী সাক্ষী হওয়াতে এলাকায় বেশ আলোড়ন সৃর্ষ্টি হয়। তাছাড়া তিনি আরো জানান, ঐ দিন বরং তাহমিনার বাড়িতে টিটু গং, মনির ভান্ডারি ও নাহিদ একদল সন্ত্রাসী নিয়ে বাড়িঘর ভাংচুর ও দখল করার পায়তারা করেন। এ ঘটনায় নাহিদ, সে সময় তার ৬ বছরের মেয়ে রিহাকে বয়স ১৮ বছর দেখিয়ে সাক্ষীতে নাম দেন। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে টিটু গংরা ও নাহিদ তাদের হুমকি দিয়ে আসছে বাড়িটি দখল করার জন্য। এ ব্যাপারে ততকালীন চেয়ারম্যান সফিকুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা র্স্বিকার করেন এবং বিষয়টি মিমাংসার জন্য বহু চেষ্টা করার পরও টিটু গং ও নাহিদরা হাজির হননি। বর্তমানে তাহমিনা নিজের ও তার পরিবারের অন্যদের নিরাপত্তার জন্য গত ২৯/০১/২০২৩ ইং তারিখ লালমাই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। যার নম্বর হলো : ঝউজ নং ৮১/২০২৩। এ জিডির ঘটনায় লালমাই থানায় যোগাযোগ করা হলে জিডির তদন্ত কর্মকর্তা সাখাওয়াত হোসেন বিষয়টির সত্যতা স্বিকার করেন।